অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তুরষ্কের সেন্ট্রাল ইস্তাম্বুলে বিস্ফোরণ ও হতাহতের ঘটনায় কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) দায়ী করছে এরদোয়ান সরকার। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আলহাম আলবাশির নামের এক সিরিয়ান নারীসহ ৪৬ জনকে আটক করেছে তুর্কি প্রশাসন। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো সংগঠন বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলাইমান সয়লু জানান, সবসময় জনবহুল ওই জায়গায় যে নারী বোমাটি রেখেছিলেন ও এর সঙ্গে যারা যারা জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল, তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের সবাইকে কঠোর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ধারণা- এ ধরনের নেক্কারজনক কাজের নির্দেশ এসেছিল উত্তর সিরিয়ার জেলা শহর আয়ান-আল-আরব থেকে, যেখানে পিকেকে’র একটি হেডকোয়ার্টার রয়েছে। যারা এ জঘন্য সন্ত্রাসী হামলা ঘটিয়েছেন, আমরা অবশ্যই তাদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করবো।
এদিকে, ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলনের উদ্দেশ্যে তুরস্ক ছাড়ার আগে রোববার প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, বিস্ফোরণটি একটি ‘বিশ্বাসঘাতক আক্রমণ’। এ ঘটনায় একজন নারী জড়িত আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্যই অপরাধীদের সবাই শাস্তির মুখোমুখি হবেন।
একইদিনে দেশটির বিচারমন্ত্রী বেকির বোজদাগ বলেন, ঘটনাস্থলে থাকা একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়- এক নারী স্থানীয় ইস্তিকলাল অ্যাভেনিউয়ে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে একা বসে ছিলেন। একপর্যায়ে একটি প্যাকেট রেখে সেখান থেকে দ্রুত সরে যান তিনি। এর পরপরই বিস্ফোরণটি ঘটে।
তুর্কি গণমাধ্যম এ হাবারে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেকির বোজদাগ আরও বলেন, এখানে দুটি কাজ ঘটে থাকতে পারে। প্রথমত, ওই নারীর রেখে যাওয়া ব্যাগের মধ্যে কোনো কৌশলে রেখে দেওয়া বম্বটি হঠাৎ ফেঁটে যায়। দ্বিতীয়ত হতে পারে, বম্বটি দূর থেকে রিমোটের মাধ্যমে ফাঁটানো হয়েছে।
অবশ্য কাতারভিত্তি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা সন্দেহভাজন ওই নারীর দুটি ছবি প্রকাশ করেছে। তাছাড়া বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে ভিডিওসহ ওই নারীর তৎকালীন কর্মকাণ্ড দেখানো হয়েছে।
ভিডিও প্রতিবেদনগুলোতে দেখা যায়, এক নারী ইস্তিকলাল অ্যাভিনিউয়ের ফুল গাছের গোড়ায় একটি প্যাকেট রেখে দ্রুত সেখান থেকে চলে যাচ্ছেন। তার কিছুক্ষণ পরই ঘটে বিস্ফোরণ। এতে ছয়জন নিহত ও অন্তত ৮১ জন আহত হন।
এর আগেও ইস্তাম্বুলসহ তুরষ্কের অন্য শহরগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালায় কুর্দি বিদ্রোহী, জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠন। এমনকি ২০১৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দেশটিতে পরপর কয়েকেটি বড় ধরনের হামলার ঘটনার ঘটে। সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স
Leave a Reply